Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করুন হাওরের সবচেয়ে সুন্দর হাউস বোট ভেলার সাথে!
ভেলায় রয়েছে ৬টি লাক্সারিয়াস কেবিন, প্রতিটি কেবিনেই রয়েছে এটাচড বাথরুম এবং ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি লাউঞ্জ, যা আপনার ভ্রমণকে করবে আরও আরামদায়ক এবং উপভোগ্য।
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করুন হাওরের সবচেয়ে সুন্দর হাউস বোট দ্যা ক্যাপ্টেনর সাথে!
★ ২ টি এসি কেবিন এটাচ বেলকনি এবং এটাচ ওয়াশরুম (হাই কমোড) (৩ জন প্রতি কেবিনে)
★ ২ টি কেবিন এটাচ বেলকনি এবং এটাচ ওয়াশরুম (হাই কমোড) (৪ জন প্রতি কেবিনে)
★ প্রায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা।
★ সুনামগঞ্জ – তাহিরপুর – সুনামগঞ্জ নিজেস্ব লেগুনার ব্যাবস্থা।
★ ১ টি ফ্যামিলি কেবিন ডাবল বেডের এটাচ ওয়াশরুম (হাই কমোড)
★ ২ টি কাঁপল কেবিন এর মধ্যে একটি এটাচ ওয়াশরুম (হাই কমোড)
★ সুবিশাল ওপেন লাউঞ্জ
★ দোলনার ব্যাবস্থা
★ পুরো ক্যাপ্টেনে সোজা হয়ে হাঁটার মতো উচ্চতা
★ বোটের পিছনের দিকে রয়েছে ফ্লোটিং হাওর ভিউ স্ট্যান্ড।
★ সবুজ কার্পেটে মোরানো বিশাল ছাঁদ বগান
★ পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, লাইফ জ্যাকেট
★ ছাঁদে উঠার জন্য ২ টি সিঁড়ি
★ মিনারেল পানির ব্যাবস্থা
★ সার্বক্ষণিক চা/কফি, বিস্কুট
★ প্রতিটি রুমে ও ওয়াশরুমে ফ্যানের ব্যাবস্থা
★ সাবান, শ্যাম্পু, টিসু, টুথপেস্ট
★ হাইজেনিক উপকরণ
★ জায়নামাজ
★ ফোন ল্যাপটপ চার্জিং এর জন্য পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা
★ ইনডোর গেমসের বেশ কিছু উপকরণ
★ সার্বক্ষণিক রুম সার্ভিস
★ অভিজ্ঞ গাইড
★ অভিজ্ঞ বাবুর্চির মাধ্যমে হাওরের বড়,ছোট মাছ,হাসের মাংস সহ বাহারি স্বাদের লোকাল খাবার যা আপনাকে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে বাধ্য করবে।
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করুন হাওরের সবচেয়ে সুন্দর হাউস বোট আরণ্যকর সাথে!
আমাদের বোটে রয়েছে ৭ টি ডোর লকড কেবিন।
২ টি এটাচ্ড ওয়াশরুম এবং ২ টি কমন ওয়াশরুম।
প্রিমিয়াম হাউজবোটে ২ দিন, ১ রাত থাকা।
এমিনিটিজ (টাওয়াল, সাবান, শ্যাম্পু, পেস্ট, ব্রাশ)।
৫ বেলা খাবার এবং ৪ টি হালকা নাস্তা।
পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট এবং বয়া।
ফ্রুটস, বিস্কুট এবং আনলিমিটেড চা।
হাউজবোটের মনোরম পরিবেশ।
লাইট, ফ্যান, ড্রেসিং মিরর, প্রতিটি কেবিনে চার্জিং পয়েন্ট।
জেনারেটর মাধ্যমে মোট ২০ ঘন্টা বিদ্যুং সার্ভিস।
ছাদে বসে প্রকৃতি উপভোগ করার মত সুন্দর পরিবেশ।
টাঙ্গুয়ার হাওরে লাক্সারিয়াস হাউজ-বোট আরণ্যকে আপনাকে স্বাগতম। মেঘালয় থেকে নেমে আসা শীতল-জ্বলে পরিপূর্ণ টাঙ্গুয়ার হাওর এখন ভ্রমণ পিপাসুদের স্বাগতম জানানোর জন্য প্রস্তুত। এই সময়টায় হাওর যে কাউকে মুগ্ধ করবে তার রূপে, চেরাপুঞ্জির কাছে বলে বৃষ্টি এনে দিতে পারে বাড়তি ভালো লাগা। আমাদের লাক্সারিয়াস হাউজ বোটে রয়েছে এসি এবং নন-এসি কেবিন। এছাড়া পুরো বোট বুকিং করার বাধ্যবাধকতা নেই। মাত্র ১ টি কেবিন বুকিং করেও আসতে পারেন।
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
টোটাল গেষ্ট ধারন ক্ষমতা ৪০ জন।
১৪টি গেষ্ট রুম একটি হোষ্ট রুম ও একটি গাইড রুম।
৪ টি ফ্যামিলি স্যুট রুম-প্রতি রুমে ৪ জন করে।
৪ টি এক্সিকিউটিভ ট্রীপল রুম -প্রতি রুমে ৩ জন করে।
৬টি ডিলাক্স কাপল রুম -প্রতি রুমে ২ জন করে।
সম্পর্ন নতুন পর্জটক বাহী এসি জাহাজ
মনোমুগ্ধকর ইন্টিরিয়র ডিজাইন।
লাইভ বার-বি-কিউ কর্নার।
প্রতিটি রুমে এটাস বাথ রুম।
ফ্রেশ পানির রির্জাব ক্যাপাসিটি ৪০০০০ হাজার লিটার।
জেনারেটর এবং আইপিএস এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক বিদ্যুতের ব্যাবস্থা।
প্রতেকের জন্য লাইফ জ্যাকেট ও লাইফ বয়া
অগ্নি নির্বাপক ব্যাবস্থা
অভিজ্ঞ বাবুরচি দ্বারা বাহারী খাবারের আয়োজন।
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
স্বর্গীয় জলজ সৌন্দর্যের সাক্ষী টাঙুয়ার হাওরে বিলাসবহুল নৌকায় বসে নির্মল পানির সৌন্দর্য, রাত্রি যাপন কিংবা প্রকৃতির একদম কাছাকাছি যেতে আপনাদের সেবায় মাছরাঙা
মাছরাঙা হাউস বোট বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
আমাদের মোট ১০টি ডোর লক কেবিন রয়েছে।
২ টি AC VIP রুম ( এটাচ ওয়াশরুম)
৬ টি ক্লোজ ডোর রুম – সবগুলোতেই এটাচ বাথরুম
২ টি নন-এটাচ রুম
মোট ৩০ জনের একসাথে থাকার ব্যবস্থা (লবি সহ)
সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ (Central Generator এর সাহায্যে
বাহারী স্বাদের খাবার
টাঙুয়ার হাওরের সবচেয়ে নতুন ও লেটেস্ট মডেলের হাউজবোট
প্রত্যেক রুমের সাথে ইনফিনিটি ভিউয়ের জানালা
সবার জন্য উন্মুক্ত সুপরিসর লবি
বিশাল সবুজে ঘেরা ছাদ, ছাদে খাবার, টেবিল ও বীচ চেয়ারে আড্ডা ও গানের ব্যবস্থা
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম
প্রিয়জনের স্মৃতি ধরে রাখতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন দোলনা
প্রতি রুমে লাইট ও ফ্যান।
মোবাইল/ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার সুবিধা।
জনপ্রতি লাইফ জ্যাকেট।
সার্বক্ষনিক ৫ জন স্টাফ এবং একজন ম্যানেজার।
হাওড়ের দক্ষ সুকানি (মাঝি)।
অভিজ্ঞ বাবুর্চি।
ফাস্ট এইড ব্যবস্থা।
অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা।
এছাড়া অন্যান্য আরো অনেক সুবিধা থাকবে।
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
টাংগুয়ার হাওরে ভ্রমণ করুন হাওরের সবচেয়ে বড় ও নান্দনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রিমিয়াম হাউজবোটে। সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি হাওরের সুলতান।
সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি হাওরের সুলতান টাঙ্গুয়ার হাওরের ভাসমান বাড়ী।
আমাদের মোট ৬টি কেবিন আছে কেবিন সাইজ ৭ফিট/৯ফিট ।
★★ ৪ জনের কেবিন আছে ২টি।
★★ ৩ জনের জন্য ২ টি কেবিন।
★★ ২ জনের / কাপলদের জন্য ২টি কেবিন।
★★ ২ জনের / কাপলদের জন্য ২টি কেবিন। (এটাচ টয়েলেট)
এছাড়া সবার জন্য ২টি কমন টয়েলেট রয়েছে।
***কেবিনগুলির সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য দরজা লক করার সুবিধা রয়েছে৷
আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন তারিখে সর্বনিম্ন ২/৩/৪ জন কেবিন বুকিং দিতে পারেন।
এছাড়া গ্রুপ ট্যুর করতে পারবেন নিজেরা।
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
১৫ টি এটার্চ ওয়াশরুম এসি কেবিন সাথে থাকছে এসি লাউঞ্জ এবং প্রশস্ত ছাদ ।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের অনুমোদিত ডিজাইন, সার্ভে সম্ভলিত হাওড়ের একমাত্র পর্যটকবাহী ভ্যাসেল এম ভি মিঠামইন।
পরিবেশ বান্ধব ও শব্দদূষণহীন। মনুষ্য বর্জ্য পানিতে না ফেলে সেফটি ট্যাংকিতে সংরক্ষণ করা হয়।
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করুন হাওরের সুন্দর হাউস বোট এম ভি মিঠামইনর সাথে!
– টাঙ্গুয়ার হাওড়ের সবচেয়ে লাক্সারিয়াস বোট
– বোটের ভিতর সোজা হয়ে হেঁটে বেড়ানো মত প্রশস্ত জায়গা
– বিশাল প্রিমিয়াম লাউঞ্জ
– লাইট, ফ্যান, লকার সিস্টেম এবং চার্জিং পয়েন্ট
– ভিউ সহ প্রিমিয়াম ওয়াশরুম (হাই কমোড, বাথটাব)
– লো কমোড ওয়াশরুম
– ট্রান্সপারেন্ট উইন্ডো
– পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট এবং লাইফ বয়া
– দক্ষ বাবুর্চির সহায়তায় হাওরের ফ্রেশ খাবার
– শিক্ষিত ও স্মার্ট ট্যুর গাইড
– চা/ স্ন্যাক্স/পানি
– রুম সার্ভিস
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
Standard Couple স্ট্যান্ডার্ড কাপল
2person
Attached washroom
Air conditioned
Premium couple প্রিমিয়াম কাপল
2person
Attached washroom
Air conditioned
Standard Triple স্ট্যান্ডার্ড ত্রিপল
2person
Attached washroom
Air conditioned
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করুন হাওরের সুন্দর হাউস বোটর সাথে!
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69সম্পর্ন নতুন পর্জটক বাহী এসি জাহাজ
মনোমুগ্ধকর ইন্টিরিয়র ডিজাইন।
লাইভ বার-বি-কিউ কর্নার।
প্রতিটি রুমে এটাস বাথ রুম।
ফ্রেশ পানির রির্জাব ক্যাপাসিটি ৪০০০০ হাজার লিটার।
জেনারেটর এবং আইপিএস এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক বিদ্যুতের ব্যাবস্থা।
প্রতেকের জন্য লাইফ জ্যাকেট ও লাইফ বয়া
অগ্নি নির্বাপক ব্যাবস্থা
অভিজ্ঞ বাবুরচি দ্বারা বাহারী খাবারের আয়োজন।
Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69আমাদের এই বিলাশবহুল হাউজ বোটে রয়েছে ৪ টি এসি কেবিন (এটাচ ওয়াশ রুম),
৪ টি নন এসি কেবিন (এটাচ ওয়াশ রুম) এবং
২ টি নন এসি কেবিন (নন এটাচ ওয়াশ রুম)।
আরো রয়েছে আড্ডা দেয়ার জন্য একটি বড় প্রশস্ত লবি এবং একটি রান্নাঘর।
হাওরের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমাদের বিলাশবহুল হাউজ বোটটি বুকিং করুন।
এক্সক্লুসিভ এসি রুম (এটাচ ওয়াশরুম )
এক্সক্লুসিভ নন-এসি রুম (এটাচ ওয়াশরুম )
প্রিমিয়াম নন-এসি রুম (নন এটাচ ওয়াশরুম )
সুবিধা:
ওয়েলকাম ড্রিংকস।
প্রসাধন সামগ্রী।
নোঙ্গর ঢালাই করার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
জেনারেটর সেবা।
রুম সার্ভিস।
শিমুলবাগান এন্ট্রি ফি।
লাকমাছড়া বাইক বা অটো ভাড়া।
রুম এবং লবি উভয় ভিতরেই লাইট, ফ্যান এবং চার্জিং সুবিধা পাবেন।
আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইফজ্যাকেট পাবেন।
আমরা ফার্স্ট এইড বক্স এবং সাধারণ ওষুধ সরবরাহ করব।
এই নৌকাটিতে উপরে ও নিচে যাওয়ার জন্য ১টি মই সুবিধা রয়েছে। আমাদের ১ জন অভিজ্ঞ বোট চালক, ৩-৪ জন কর্মী এবং ১ জন বাবুর্চি আপনার পরিষেবায় আপনার খাবারের জন্য রয়েছে।
ট্যাকের হাট ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি বাজার। টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে যারা আসেন তারা একবার হলে বেড়িয়ে যান ট্যাকের হাটে। ট্যাকের ঘাটে নৌকা নোঙ্গর করার পর বিকেলের সময়টা সবাই এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যা বেলায় হালকা খাবার বা ভাজা পোড়া খেতে সবাই ভিড় জমায় ট্যাকের হাটে। ট্যাকের ঘাট থেকে ০৩-০৪ মিনিটের হাটার দুরুত্বে এই বাজারের অবস্থান। যারা বাজেট ট্যুরে আসেন তারা ট্যাকের হাটে কম দামে ভালো মানের খাবার পেয়ে যাবেন।
টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরতে আসলে যে জায়গাটিতে যেতে একদম ভূলবেন না সেটি হচ্ছে লাকমা ছড়া। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের আস্তরন। এই সবুজ আস্তরনের বুক বেয়ে নেমে এসেছে এক ঝর্ণা, যার নাম লাকমা। এই ঝর্নাটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে। লাকমা ঝর্ণাটি বাংলাদেশ থেকে দেখা যায়না। লাকমা ঝর্ণার পানিগুলো বাংলাদেশে বয়ে আসে। লাকমা ঝর্ণার পানি গিয়ে পড়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে। যে পথ দিয়ে পানি গিয়ে হাওরে পড়ে তাকে বলে লাকমা ছড়া। ছড়ার শীতল জল আপনাকে প্রনবন্ত করবে। ছড়ায় বড় বড় পাথর ছড়ার সৌন্দর্যকে কয়েক গুন বৃদ্ধি করেছে। ট্যাকের ঘাটে নৌকা থেকে নেমে একটা অটো বা মোটর সাইকেল নিয়ে লাকমা ছড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলে যেতে পারেন।
হাওরকে অন্যভাবে উপভোগ করতে অবশ্যই উঠবেন ওয়াচ টাওয়ারে। ছুটির দিন গুলোতে বেশ ভিড় থাকে টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারে। বলাই নদীর পাশ ঘেঁসে হিজল বনে ওয়াচ টাওয়ারের অবস্থান। প্রায় সব নৌকা একবারের জন্য হলেও ওয়াচ টাওয়ারের পাশে যায়। ওয়াচ টাওয়ারের আশে পাশের পানি বেশ স্বচ্ছ। পানি স্বচ্ছ বলে ঘুরতে আসা বেশিরভাগ পর্যটকই এইখানে গোসল সেরে নেন। এইখানে পানিতে নেমে চা খাওয়ার আছে বিশেষ সুযোগ। ছোট ছোট নৌকায় করে হাওরের স্থানীয় লোকজন চা, বিস্কুট বিক্রয় করে। আপনি চাইলে বড় নৌকা থেকে নেমে ছোট ছোট নৌকা দিয়ে ঘুরতে পারবেন এইখানে, শুনতে পারবেন মাঝির সুমধুর কন্ঠে হাওর বাঁচানোর গান।
নীলাদ্রি লেক এইখানে মানুষদের কাছে পাথর কুয়ারি নামে পরিচিত। এই লেকটি এবং তার আশ পাশের এলাকা বাংলার কাশ্মীর নামেও পরিচিত। নীলাদ্রি লেকের বর্তমান নাম “শহীদ সিরাজী লেক” । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ গেরিলা যোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বির বিক্রম এর নামানুসারে এই লেকের নামকরন করা হয়। কিন্তু ট্রাভেলার কমিউনিটিতে এটি নীলাদ্রি লেক হিসেবেই বেশী পরিচিত। এই লেকের পানি খুব স্বচ্ছ। নৌকায় করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন এই লেকে। আরো আছে কায়াকিং এর বিশেষ ব্যাবস্থা। ক্লান্তি দূর করার জন্য স্বচ্ছ ঠান্ডা লেকের জলে স্নান করে নিতে পারবেন। লেকের এক পাশ সবুজ ঘাসের চাদরে মোড়ানো ছোট ছোট বেশ কয়েকটি টিলা। আর অন্য পাশে রয়েছে সুউচ্চ সুবিশাল পাহাড়। পাহাড়, টিলা, লেকের স্বচ্ছ পানি প্রকৃতির এই সুন্দর মিতালী আপনাকে বিমোহিত করবে। এইখানে এসে আপনি হারিয়ে যেতে বাধ্য। ট্যাঁকের ঘাটে নৌকা থেকে নেমে সোজা হেঁটে চলে আসতে পারবেন নীলাদ্রি লেকে। পড়ন্ত বিকালের সময়টুকু কাটতে পারেন লেকের পাড়ের ঘাসের চাদরে বসে। অথবা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে করতে পারেন লেকের জলে নৌকা ভ্রমণ অথবা করতে পারেন কায়াকিং।
জাদুকাটা নদীর আদি নাম রেনুকা। কথিত আছে জাদুকাটা নদী পাড়ে বসবাস কারি কোন এক বধু তার পুত্র সন্তান জাদুকে কোলে নিয়ে নদীর অনেক বড় একটি মাছ কাটছিলেন। হঠাৎ অন্যমনস্ক হয়ে নিজের সন্তান জাদুকেই কেটে ফেলেন। এই কাহিনী থেকেই পরবর্তীকালে এই নদীর নাম হয় জাদুকাটা নদী। এ নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের জৈন্তিয়া পাহাড়। এ নদীর পানি অনেক ঠান্ডা, দুপুরের গেলে নঈতে ডূব দিতে একদম ভূলবেন না। তবে নদীর মাঝে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। মাঝে অনেক স্রোত থাকে। জাদুকাটার এক পাশে সুবিশাল পাহাড় উপরে নীল আকাশ আর নদীর স্বচ্ছ পানি এইগুলো মিলে অদ্ভূত এক ক্যানভাসের সৃষ্টি করে।
এটি বাংলাদেশের সব চাইতে বড় শিমুলা বাগান। এ বাগানে প্রায় ৩০০০ শিমুল গাছ রয়েছে। প্রায় ১০০ বিঘা জায়গা জুরে এই শিমুল বাগানের বিস্তৃতি। বসন্ত কালে শিমুল ফুলের রক্তিম আভা আপনার মনকে রাঙ্গিয়ে দিবে। শিমুল বাগানের অপর পাশে মেঘালয়ের সুবিশাল পাহাড় মাঝে সচ্ছ নীল জলের নদী জাদু কাটা আর এই পাশে রক্তিম শিমুল ফুলের আভা আপনার মন নেচে উঠবে। শিমুল বাগানে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। শিমুল বাগানের নিচেই নৌকা আসে। নৌকা না আসলে ট্যাকের ঘাট থেকে বাইক নিয়ে ঘুরে যেতে পারবেন শিমুল বাগান।
মেঘালয়ের পাহাড়ের পাদদেশে সীমান্তের এই পাশে সবুজে মোড়ানো এক টিলার নাম বারেকের টিলা বা বারিক্কা টিলা। উঁচু এই টিলার একপাশে ভারতের সুউচু পাহাড়, অন্য পাশে স্বচ্ছ জলের নদী জাদুকাটা। বারিক্কা টিলা থেকেই দেখতে পারবেন মেঘ পাহাড়ের মিলবন্ধন। বারিক্কা টিলার উপর থেকে জাদুকাটা নদীর দিকে তাকালে আপনি যে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে পারবেন তার রেশ থেকে যাবে বহুদিন। বারিকা টিলার পাশে দুইটি মিষ্টি পানির ছড়া রয়েছে। বর্ষাকাল ছাড়া এই ছরাগুলো পানি থাকে না বললেই চলে। ছড়া গুলো দেখতে খানিকটা ট্র্যাকিং করতে হবে। এছাড়াও ভারতের পাহাড়ে রয়েছে শাহ্ আরেফিনের মাজার এবং রয়েছে একটি তীর্থ স্থান। বছরের নির্দৃষ্ট দিনে এইখানে ওরস এবং পূণ্য স্নানের আয়োজন হয়। বারিক্কা টিলার পাশেই জাদুকাটা নদী। এ নদী দিয়েই নৌকায় করে আসতে পারবেন। কিন্ত নৌকা না আসলে ট্যাকের ঘাট থেকে বাইক বা ইজি বাইক চলে আসতে পারবেন বারিক্কা টিলায়।
টাঙ্গুয়ার হাওরের হিজল বনটি দেশের সবচাইতে পুরানো হিজল বন। বলাই নদীর পাশেই আছে এই হিজল বন। হাওরের মাছ ও পাখির অভয়াশ্রম এই হিজল বন। টাঙ্গুয়ার হাওরে আছে শতবর্ষীয় হিজল গাছ। বর্ষায় গলা সমান পানিতে ডুবে থাকা গাছে গাছে ঝুলে থাকা হিজল ফুলের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা নদীর ঠিক পাশেই রয়েছে মরমী কবি হাসন রাজার বাড়ি। হাসন রাজা একজন সম্ভ্রান্ত জমিদার ছিলেন। জমিদারির পাশাপাশি তিনি অসংখ্য গান রচনা করেছিলেন। সে সকল গান এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে সুনামগঞ্জের হাসন রাজার বাড়িটি যাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এই যাদুঘরে হাসন রাজার স্মৃতি বিজড়িত অনেক জিনিসপত্র আছে। এইখানে আসলে আপনি দেখতে পাবেন মরুমী কবি হাসন রাজার রঙ্গিন আলখাল্লা, তিনি যেই চেয়ারে বসে গান রচনা করতেন সেই চেয়ার। তার ব্যবহৃত তলোয়ার। আরো আছে চায়ের টেবিল, কাঠের খড়ম, দুধ দোহনের পাত্র, বিভিন্ন বাটি, পান্দানি, পিতলের কলস, মোমদানি, করতাল, ঢোল, মন্দিরা, হাতে লেখা গানের কপি, ও হাসন রাজার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি। টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ফেরার পথে ঘুরে যেতে পারবেন হাসন রাজার যাদুঘর।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ডলুরা ছিল সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার অন্যতম রণাঙ্গন। এই রণাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধে যারা শহীদ হন তাদের কয়েকজনকে এইখানে সমাহিত করা হয়। ১৯৭৩ সালে শহীদদের স্মরনে এইখানে স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হয়। এইখানে ৪৮ জন শহীদের সমাধি রয়েছে। সুউচু পাহাড়ের পাদদেশে লুকিয়ে আছে ১৯৭১ এর রক্তাত্ত সংগ্রামের স্মৃতি চিহ্ন।
সাড়ে পাঁচ একর জমির উপর ৩০০ বছর আগে তৈরি করা হয় পাইলগাও জমিদার বাড়ি। কালের পরিক্রমায় ক্ষয়ে যাওয়া জমিদার বাড়িটি আজও সৌন্দর্য, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারক। এই জমিদার বাড়ির অবস্থান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ০৯নং ইউনিয়নে। এই জমিদার বাড়ির প্রতিটি ঘর যেন এক অন্যরকম নান্দনিক স্থাপত্য শিল্পের সাক্ষী হয়ে আজো বিদ্যমান রয়েছে। পাইলগাও জমিদার বাড়ি প্রাচীন পুরাকীর্তির এক অনন্য নিদর্শন।
ব্যাগ, গামছা, ছাতা, মশার হাত থেকে বাঁচতে ওডোমস ক্রিম, টুথপেষ্ট, সাবান, শ্যম্পু, সেন্ডেল, ক্যামেরা, ব্যাটারী, চার্জার, সানক্যাপ, সানগ্লাস, সানব্লক, টিস্যু, ব্যক্তিগত ঔষধ, লোশন, চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক, ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ টর্চ, কোভিড ১৯ মোকাবিলায় মাস্ক, এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখবেন।