Sundarban Tour: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69
HARBARIA, KATKA, KOCHIKHALI, DIMERCHOR, KOROMJOL
15,000 Per Person
Entrance fees for Foreign national: 10,500 BDT
Entrance fee for Bangladesh national: 1,050 BDT
KHULNA-HARBARIA-KOTKA-KOCHIKHALI-KARAMJAL – KHULNA
#১ম_দিন:
সকাল ৭:৩০ খুলনা জেলখানা ঘাট থকে আমাদের গাইড আপনাকে রিসিভ করে শীপে নিয়ে যাবে। রুপসা এবং পশুর নদী ধরে খুলনা শিপইয়ার্ড,রুপসা ব্রিজ,রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মংলা বন্দর পাশে রেখে আমাদের শীপ চলবে হাড়বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে।
দুপুরের খাবার খেয়ে নামবো “হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে । আগে পিছে গান ম্যান রেখে সারিবদ্ধ ভাবে যাবো নির্ধারিত ফুট ট্রেইল ধরে। মিষ্টি পানির পুকুর পার হয়ে ঢুকবো গভীর বনে৷ দু,পাশে থাকবে ঘন শ্বাসমূল যুক্ত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। সুন্দরী, গোলপাতা,গেওয়া গাছ এই বনে বেশী। প্রচুর হরিণের পায়েরছাপ এবং নিশ্চুপ থাকলে হরিণের পাল দেখা যাবে। কাকড়ার পাল ছুটে লুকাবে আপনার চলার শব্দে।প্রায় ১ মাইল ট্রেইল ঘুরে পুকুরের উপর নির্মিত কাঠের রেষ্ট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে শীপে ফিরে আসবো। শীপে ফিরে বিকালের নাস্তা খাবো। শীপ চলবে সাগরের মোহনায় অবস্থিত “কটকা অভয়ারণ্যে।
#২য়_দিন:
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশী নৌকায় ক্যানেল ক্রুজিং এবং চুপ থেকে বনের নিস্তব্ধতা উপভোগ করবো৷ সেখান থেকে টাইগার ট্রি’র ঝোপ,হরিণের বিচরণের মাঠ এবং গভীর বন পেরিয়ে আড়াই কিলো দূরের বাদামতলা সী বীচে যাবো। উপভোগ করবো বাংলাদেশর দুই গর্ব “সুন্দরবন” এবং ‘বঙ্গপোসাগর ” এর মিলন স্থান।
এরপর শীপে ফিরে সকালের নাস্তা করে যাবো টাইগার টিলার উদ্দেশ্যে। কাঁদা,শ্বাস মূল আর ভয়ংকর গড়ান বন পেরিয়ে টাইগার টিলার অবস্থান।যাওয়ার পথে খুব কাছ থেকে হরিণের পাল দেখা যাবে।
এরপর ফিরবো শীপে৷ শীপ যাবে হিরণ পয়েন্ট বা “কচিখালির” উদ্দেশ্যে।
হিরণ পয়েন্ট বা “কচিখালিতে” গা,ছমছমে ছন বনের ভিতর দিয়ে হাটবো। হরিণের পাল মাথা উচু করে আপনাকে দেখেই ছুটে পালাবে এবং আপনি বুঝবেন কেনো এখানকে বাঘের ডাইনিং বলা হয়। ছমছমে ভাব নিয়েই ফিরবো শীপে। শীপে করে যাবো দুবলার চর বা ডিমের চর
মনরম সুন্দর সী বীচে থাকবো সন্ধার পর পর্যন্ত। তারপর ফিরবো শীপে। শীপ চলবে করমজলের উদ্দেশ্যে।
#৩য়_দিনঃ
করমজলে নোনা পানির বাংলাদেশের একমাত্র কুমির প্রজনন কেন্দ্র। ছোট বড় কুমির,বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কচ্ছপ,বানরের পালের বাদরামি এবং হরিণকে হাত থেকে ঘাস খাইয়ে শীপে ফিরে খুলনা/মংলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো।
নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের কোন আপোস নেই। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে বাংলাদেশ বনবিভাগের দুই জন সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী । আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে VSF এর মাধ্যমে ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন।
#সুন্দরবন_ভ্রমণের_করনীয় :
উজ্জল রঙ্গের কাপড় ( যা অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে ) পরিহার করা। হালকা রঙের এবং ঢিলে ঢালা ফুল স্লিব পোশাক পরা।
কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার না করা।
পিছনে বেল্ট আছে এবং পানিতে ভিজলে নষ্ট হবে না এমন সেন্ডেল / কেডস সাথে নিতে হবে। সু/ হাই হিল নিবেন না।
এডভেঞ্চার ট্যুরে লাগেজের সাইজ ছোট হওয়াই ভালো।
জঙ্গলে নামার পর কোন অবস্থাতে উচ্চ স্বরে কথা বলা যাবে না এবং খুব প্রয়োজন না হলে কথা না বলেই ট্রাকিং করতে হবে।
যেহেতু সমস্ত প্রয়োজনীয় সব কিছু আমাদের খুলনা থেকে নিয়ে উঠতে হবে তাই পানি অপচয় না করা (নদীর পানি নোনা) এবং খাবার পানি অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করা।
জঙ্গলে নামার পর সু-শৃক্ষল ভাবে হাটতে হবে এবং কোন অবস্থাতে দল ছুট হওয়া যাবে না।
পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেমন: পলিথিন বা প্যাকেজিং বস্তু যত্রতত্র ফেলা যাবে না।
স্থানীয় এবং অন্য ভ্রমণকারী দলের সদস্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
গাইড এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশনা মেনে চলা।
আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা আপনাদের নিরাপত্তা এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য তাই আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।
#সাথে_কি_কি_রাখতে_হবে:
প্রয়োজনীয় ঔষধ।
টুথ ব্রাশ ও পেস্ট।
ক্যাপ,সান গ্লাস সানস্ক্রিন লোশন
ক্যামেরা,মেমরি কার্ড ও পাওয়ার ব্যাংক, টেলিটক সিম কার্ড।
সাবান,শ্যাম্পু
রেইন কোর্ট বা ছাতা
ব্যাক্তিগত অভ্যাসের সামগ্রী।
প্রতিদিন ৫ বেলা স্নাক্স সহ ডবল মেনুর খাবার থাকবে। চা এবং কফির ব্যাবস্থা থাকবে পর্যাপ্ত।
#খাবার_ম্যানু:
#১ম_দিন:
সকাল: ওযেলকাম ড্রিঙ্কস, ব্রেড, বাটার,জেলি, ডিম সিদ্ধ, কলা,মধু, চা/কফি কনফ্লেক্স,দুধ ।
বেলা ১১ টা- কেক,ফল, চা/কফি।
দুপুরে: সাদা ভাত, লাউ চিংড়ি, আলু ভর্তা ,লইটা শুটকি ভূনা ,মাছের দোপেয়াজু, চিকেন কারী, ডাল ,সালাদ,সেমাই।
সন্ধা:৬:০০ কর্ন সুপ,ফ্রেঞ্চ ,চিকেন ফ্রাই ,চা,কফি।
রাত্রে: সাদা ভাত,মিক্স সবজি,পেপে/বেগুন ভর্তা,শাখ ভাজি,রূপচাঁদা মাছ, হাসের মাংশ,মুড়িগন্ড,সালাদ,পায়েশ।
#২য়_দিন:
সকালে ৫:৩০- বিস্কিট, চা/কফি।
জঙ্গল সাফারিতে আপেল এবং পানি।
সকাল ৯ টা: ভুনা খিচুরি, বেগুন ভাজী, ডিম অমলেট, আচার, ঘি,মরিচের ভর্তা,সালাদ, চা/কফি।
বেলা ১১ টা- পেয়ারা, চা/কফি।
দুপুরে: সাদাভাত, কলা ভর্তা ,চিংড়ি শাক,মাছা ভর্তা, ফাইশা মাছ দোপেয়াজো,,চিকেন ভূনা্ , ডাল, সালাদ দই ।
সন্ধা ৬টা- শীতের পিঠা , চা/কফি।
রাত্রে: পোরাটা, চিকেন বারবিকিউ, ফিস বারবিকিউ, ডাল ভুনা, রাসিয়ান সালাদ, কোল্ড ড্রিংস।
#৩য়_দিন:
সকালে: পরাটা,মিক্স সবজি,কলিজা ভূনা,ডিম ওমলেট,হালুয়া,ডাল,চা-কফি।
বেলা ১১টা- শরবত, ড্রাই কেক, চা/কফি।
দুপুরে- প্লেন পোলাউ,বেগুন ভাজি,ডিমের কোরমা,গরুর মাংশ,চাইনিজ সবজি,বাগদা চিংড়ি ভূনা,সালাদ,মিস্টি,কোল্ডড্রিংক্
বিকেলে- চিকেন চাউমিন ,চা/কফি।
চা / কফির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।
#বি_দ্রঃ ভেসেলে উঠার পরে কোন প্রকার কেনাকাটার সুযোগ নেই। এবং বনের গভীরে কিছু যায়গায় শুধু টেলিটক মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
(সিজনের কারনে খাবার মেনুর সামান্য পরিবর্তন হতে পারে৷)